ইসরাইলকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরান। শুক্রবার ঐতিহাসিক আল-কুদস দিবসে তেহরানে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরাইলি হামলায় নিহত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) নিহত সদস্যদের জানাজায় উপস্থিত হয়ে বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ইসরাইলকে ইঙ্গিত করে বলেন, ইরানের সাহসী লোকজন অবশ্যই ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে শাস্তি দেবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে আল-কুদস দিবস পালন ও আইআরজিসির সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ইসরাইল নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেন।

আইআরজিসির নিহত সদস্যদের জানাজায় উপস্থিত হয়ে মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, পবিত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শত্রুদের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। আমাদের সাহসী সদস্যরা অবশ্যই ইহুদিবাদী রেজিমকে শাস্তি দেবে।

সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার ভবনে ইসরাইলি বিমান হামলায় ইরানের পাঁচজন সামরিক উপদেষ্টাসহ দুই জেনারেল নিহত হন। এই হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। এই হামলার দায় ইসরাইল নিশ্চিত বা অস্বীকার কিছুই করেনি। তবে এর পেছনে ইসরাইলি বিমানবাহিনীই ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের দিক থেকে হামলার ব্যাপারে প্রস্তুত রয়েছে ইসরাইল। পাল্টা হুমকি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, যে আমাদের ক্ষতি করবে বা আমাদের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করবে, তাদেরও ক্ষতি করবে ইসরাইল।

ইরানের প্রতি পাল্টা হুমকি ছুড়ে দিয়ে গতকাল রাতে নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে নেতানিয়াহু বলেন, অনেক বছর ধরেই ইরান আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে—সরাসরি এবং মিত্রদের দিয়ে, দুভাবেই। ইসরাইলও তাই ইরান এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা ও আক্রমণাত্মক পন্থা অনুসরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয়। আমরা তাই সহজ নীতিতে কাজ করব, আর সেটা হচ্ছে—যারা আমাদের ক্ষতি করবে বা ক্ষতি করার পরিকল্পনা করবে আমরাও তাদের ক্ষতি করব।